Call us now:
(চলমান) ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৬ থেকে ৫৩ ধারায় আটকের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করাহয়েছে যা নিমে আলােচনা করা হলাে :
আটককৃত ব্যক্তির শরীর স্পর্শ করে আটক কার্যকর করা :
i) যে ব্যক্তিকে আটক করা হবে তার শরীরে স্পর্শ করে অথবা অন্তরীণ করে কোন পুলিশ কর্মকর্তা কিংবা কোন ব্যক্তি তাকে আটক করতে পারে ( ধারা : ৪৬ ) ।
( ii ) যে ব্যক্তিকে আটক করা হবে সে যদি আটকের প্রতিরােধ করে কিংবা আটক ঠেকানাের চেষ্টা করে , তাহলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা বা ব্যক্তি আটক কার্যকর করার জন্য প্রয়ােজনীয় শক্তি প্রয়ােগসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে । পারবে ( ধারা : ৪৬ ) ।
( iii ) তবে আটক করতে গিয়ে কোন পুলিশ বা ব্যক্তি আটককৃত ব্যক্তির মৃত্য ঘটাতে পারবে না ( ধারা : ৪৬ ) ।
অনুপ্রবেশকৃত স্থানে তল্লাশী :
( iv ) আটক করার ক্ষেত্রে অফিসার পুলিশ যদি মনে করে যে , যে ব্যক্তিকে আটক করা অফিসার হবে সে কোন স্থানে বা ঘরে পলাতক তাহলে উক্ত স্থানে বা ঘরে পুলিশ ঢুকতে পারবে এবং তল্লাশী চালাতে পারবে ( ধারা : ৪৭ ) ।
( v ) যদি উক্ত স্থানে বা ঘরে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়া যায় তাহলে পুলিশ কর্মকর্তা আটক কার্যকর করার উদ্দেশ্যে উক্ত স্থান বা ঘর ভেঙ্গে ঢুকতে পারবে ( ধারা : ৪৮ ) ।
( VI ) উক্ত স্থান বা ঘরে মহিলা থাকে তাহলে মহিলা / মহিলাদের বের হয়ে যাওয়ার যতেস্ট সময় দিবেন। ( ধারা : ৪৮ ) ।
( vii ) তদপেক্ষা পলায়ন প্রতিরােধ অধিক বাধা করার প্রদান জন্য করা যতটুকু প্রয়ােজন গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির উপর তদপেক্ষা অধিক বাধা প্রদান করা যাবে না ( ধারা : ৫০ )
ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারা :
বিনা পরােয়ানায় গ্রেফতার : গ্রেফতার সংক্রান্ত পুলিশের সাধারণ ক্ষমতা : ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় বিনা পরােয়ানায় পুলিশ কর্মকর্তার আটকের সাধারণ ক্ষমতা আলােচনা করা হয়েছে। ৫৪ ধারায় বলা হয়েছে যে , নিম্নলিখিত ৯ টি অবস্থায় পুলিশ অফিসার বিনা পরােয়ানায় কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারবে :
( ১ ) কোন আমলযােগ্য অপরাধের সহিত জড়িত কোন ব্যক্তি অথবা এইরুপ জড়িতবলে যার বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত অভিযােগ করা হয়েছে অথবা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে অথবা যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ রয়েছে ।
( ২ ) আইনসঙ্গত কারণ ব্যতীত যার নিকট ঘর ভাঙ্গার কোন সরঞ্জাম রয়েছে সেরূপ ব্যক্তি।
( ৩ ) ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে অথবা সরকারের আদেশ দ্বারা যাকে অপরাধী ঘােষণা করা হয়েছে ।
( ৪ ) চোরাই বলিয়া যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যেতে পারে , এরূপ মাল যার নিকট রয়েছে এবং যে এরূপ মাল সম্পর্কে কোন অপরাধ করেছে বলে যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যেতে পারে ।
( ৫ ) পুলিশ অফিসারকে তাহার কার্যে বাধাদানকারী ব্যক্তি অথবা যে ব্যক্তি আইনসঙ্গত হেফাজত হতে পলায়ন করেছে অথবা পলায়নের চেষ্টা করে ।
( ৬ ) বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী হতে পলায়নকারী বলে যাকে যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যেতে পারে ।
( ৭ ) বাংলাদেশে করা হলে অপরাধ হিসাবে শাস্তিযােগ্য হত , বাংলাদেশের বাইরে কৃত এরূপ কোন কার্যের সাথে জড়িত ব্যক্তি অথবা এরূপে জড়িত বলে যার । বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত অভিযােগ করা হয়েছে , অথবা বিশ্বাসযােগ্য তথ্য পাওয়া । গেছে , অথবা যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ রয়েছে এবং যার জন্য সে প্রত্যার্পণ সম্পর্কিত । কোন আইন অথবা The Fugitive Offenders Act , 1881 অনুসারে অথবা অন্য কোনভাবে বাংলাদেশে গ্রেফতার হতে অথবা হেফাজতে আটক থাকতে বাধ্য ।
( ৮ ) কোন মুক্তিপ্রাপ্ত আসামী যে ৫৬৫ ধারার ( ৩ ) উপ – ধারা অনুসারে নিয়ম লংঘন করে প্রণীত কোন নিয়ম লংঘন করে।
( ৯ ) যাকে গ্রেফতারের জন্য কোন পুলিশ অফিসারের নিকট হতে অনুরােধ ( requisition ) পাওয়া গেছে , যদি যাকে গ্রেফতার করা হবে তার এবং এ অপরাধ বা অন্য যে কোন কারণে গ্রেফতার করা হবে সে ব্যাপারে অনুরোধেসুনিদিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় এবং উক্ত অনুরােধ থেকে এই মর্মে প্রতীয়মাণ যে , উক্ত ব্যক্তিকে অনুরােধ প্রেরণকারী কর্মকর্তা আইনসঙ্গতভাতে পরােয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবেন ।
